ফেনী-৩ আসনে জুলাই যোদ্ধা প্রিন্স মাহামুদ আজিমকে মনোনয়নের দাবি তীব্র হচ্ছে
বিশেষ প্রতিনিধি | FeniQ.Press Desk
প্রতীক নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসির নির্ধারিত প্রতীক তালিকার বাইরে কোনো প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয়—
এমন অবস্থান থেকে সরতে রাজি নয় কমিশনও।
ফলে আসন্ন ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগে নতুন রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
এনসিপির দাবি, “শাপলা প্রতীকই জনগণের প্রতীক।”
তারা জানায়, “কমিশন নিজের মতো প্রতীক নির্ধারণ করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।”
অপরদিকে নির্বাচন কমিশন বলছে, বিদ্যমান প্রতীক তফসিলে ‘শাপলা’ নেই,
তাই কোনো দলের জন্য সেটি বরাদ্দ দেওয়া আইনি নয়।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান,
“নির্ধারিত সময় শেষ হয়েছে। কমিশন এখন নিজ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ দেবে।”
ইসি সূত্রে জানা যায়,
নতুন প্রতীক তালিকার খসড়ায় ‘শাপলা’ ও ‘দোয়েল’ প্রতীক রাখা হলেও
চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় তা বাদ দেওয়া হয়।
এনসিপি এখন জানতে চায়—
কোন নীতিমালা বা আইনে এই প্রতীক বাদ দেওয়া হয়েছে?
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন,
“শাপলা ছাড়া অন্য কোনো প্রতীক দেওয়ার আইনত সুযোগ নেই। প্রয়োজনে রাজপথেই দাবি আদায় করব।”
নির্বাচন বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞদের মতে,
এনসিপি যদি নিবন্ধন না নেয় বা নির্বাচনে না আসে,
তবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলকতার প্রশ্নে বিতর্কিত হতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন,
“ইসির উচিত হবে আইনি ব্যাখ্যা দেওয়া—কেন শাপলা প্রতীক দেওয়া সম্ভব নয়।
রাষ্ট্রের অবস্থানও পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন।”
অন্যদিকে আইনজীবী শিশির মনির এক টকশোতে জানান,
“শাপলা প্রতীকে আইনগত কোনো বাধা নেই।”
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের আশঙ্কা,
এই প্রতীক-সংকট দীর্ঘস্থায়ী হলে
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।
ফেব্রুয়ারির নির্ধারিত নির্বাচনের আগে
নির্বাচন কমিশনের জন্য এটি এক বড় পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
📰 বিষয়সমূহ:
#রাজনীতি #এনসিপি #নির্বাচন_কমিশন #শাপলা_প্রতীক #FeniQPress
Comments
Post a Comment