ফেনী-৩ আসনে জুলাই যোদ্ধা প্রিন্স মাহামুদ আজিমকে মনোনয়নের দাবি তীব্র হচ্ছে
✍️ রিপোর্টার: নিজস্ব প্রতিবেদক | FeniQ.Press
জুলাই সনদের আইনগত বৈধতা ও জুলাইয়ের যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ রাজধানীতে অনুষ্ঠিত জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে ঘিরে "জুলাই যোদ্ধাদের" সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।
ন্যায্য দাবী পূরণে অস্বীকৃতি ও পুলিশ বাহিনী কর্তৃক লাঠিচার্জের প্রতিবাদে ফেনীতে মহাসড়ক অবরোধ।
গতকাল ১৭ অক্টোবর (শুক্রবার) বেলা পৌনে তিনটার দিকে ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভারের দক্ষিণ অংশে বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্টেক-হোল্ডাররা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান ও বিক্ষোব কর্মসূচি পালন করেন। স্বৈরাচারী আওয়ামী বাহিনী ওঁ ভারতীয় অগ্রাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বাহিনী কর্তৃক গণ-হত্যার দ্রুত বিচার বাস্তবায়ন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নিজেদের তিন দফা দাবী উত্থাপন করেন। সাথে ঢাকায় আন্দোলনরত জুলাই যোদ্ধাদের উপর পুলিশের আকস্মিক লাঠিচার্জের ঘটনার প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে সড়কে শুয়ে পড়েন ।
বিক্ষোভকারীরা জানান, গণ-অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে জুলাই সনদের আইনগত বৈধতা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
গণঅভ্যুত্থানের ছাত্রনেতা প্রিন্স মাহামুদ আজিম তাঁর বক্তব্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান মোহাম্মদ ইউনুসের উদ্দেশ্য জানান, :
“অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাইযোদ্ধাদের আত্মত্যাগকে অবমূল্যায়ন করেছে। জনগণের রক্তে সৃষ্ট এই জুলাই আন্দোলনকে রাজনৈতিক তুষ্টির খেলায় ব্যবহার করা হচ্ছে”
অন্য এক আন্দোলনকারী, ওমর ফারুক জানান :
"জুলাই যোদ্ধাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আজকের এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। যে জুলাইকে ঘিরে বাংলার নতুন ইতিহাস। সে জুলাই সনদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি মেলেনি আজো। আইনি বৈধতা ছাড়া নির্বাচন পরবর্তী নির্বাচিত যে-কোন সরকার চাইলেই জুলাই সনদ বাতিল হতে পারে এক্ষেত্রে জুলাইয়ের যোদ্ধাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি আমাদের ভাবাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে আবারো রাজপথ বেছে-নিয়েছি।”
আন্দোলনকারীরা জনদুর্ভোগ এড়াতে আনুমানিক বেলা তিন-টা বেজে বিশ মিনিটে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে মহিপাল জিরো-পয়েন্ট (জুলাই শহীদ স্মৃতি চত্বর) অবস্থান নিয়ে উক্ত দিনের প্রোগ্রাম স্থগিত করেন। তবে তারা হুঁশিয়ারি রাখেন—
“অন্তর্বর্তী সরকারের আশ্বাস যদি ধোঁয়াসায় পরিনত হয়, আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবো”
অবরোধের সময় ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের উভয় লেনে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় যা চৌদ্দগ্রাম-মহিপাল-বারৈয়ার হাঁট পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
ফেনী জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আন্দোলনকারী জুলাই যোদ্ধারা পুলিশের অনুরোধে রাস্তা থেকে সরে দাঁড়ায়। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক।
Comments
Post a Comment