ফেনী-৩ আসনে জুলাই যোদ্ধা প্রিন্স মাহামুদ আজিমকে মনোনয়নের দাবি তীব্র হচ্ছে
ফেনী, ১৬ অক্টোবর ২০২৫ —
ফেনীর জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলামের আকস্মিক বদলির খবরে ফেনীবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও গভীর হতাশা দেখা দিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পেশাজীবী, তরুণ ও নাগরিক সমাজের অনেকে প্রকাশ করছেন “অকাল বদলি উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ধাক্কা” বলেই মত ফেনী বাসীর।
📱 ফেসবুকে স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী,
“উনাকে আরও রাখা উচিত ছিল, একটা বছরও পূর্ণ হতে দিল না...” — এমন মন্তব্য করেছেন স্থানীয় যুবক নিশাদ আদনান,
“ভালো কাজের প্রতিদান বদলি! চাঁদাবাজদের হাত কি এত বড়?” — লিখেছেন রিয়াদ হোসাইন,
আরেকজন নাগরিক আবিদ মুহাইমিন সাহিন মন্তব্য করেছেন, “উনার বদলি ফেনীর জন্য অশুভ।”
এই মন্তব্যগুলো থেকেই স্পষ্ট —
ফেনীবাসী জনাব সাইফুল ইসলামের প্রশাসনিক সচ্চতা, জনবান্ধব উদ্যোগ ও উন্নয়নমূলক কাজের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন।
জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি শহরের যানজট নিরসন, বাণিজ্যিক ভবনে পার্কিং ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা, অনিয়ম রোধে নিয়মিত অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তিনি সম্প্রতি এক সভায় বলেছিলেন —
“যেসব ভবনে পার্কিং ব্যবস্থা নেই, সেসব দোকান ভাড়াটিয়াদের নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিতে হবে। পার্কিং বন্ধ রেখে ব্যবসা চলতে পারে না।”
এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছিল।
অনেকে অভিযোগ করেছেন, “দেশপন্থী ও সৎ কর্মকর্তার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড শুরু হতে না হতেই বদলির অপসংস্কৃতি” এখনো বিদ্যমান।
অন্যদিকে, কিছু কর্মকর্তা বছর পার করেও বহাল থাকছেন, যা রাষ্ট্রীয় ন্যায্যতার পরিপন্থী আচরণ বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় বিশ্লেষকরা মনে করছেন,
এই বদলির সিদ্ধান্তে প্রশাসনের প্রতি জনআস্থা কিছুটা ক্ষুণ্ণ হতে পারে।
তাদের মতে, “একজন সৎ ও উন্নয়নমনস্ক কর্মকর্তাকে পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালনের সুযোগ না দেওয়া মানে ফেনীর অগ্রযাত্রাকে ধীর করা।”
ফেনীবাসী আশা করছে —
সরকার জনমতের এই বার্তাকে মূল্যায়ন করবে এবং এই হঠকারী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে, ফেনীর উন্নয়নকে বাঁচিয়ে রাখবে।
Comments
Post a Comment