ফেনী-৩ আসনে জুলাই যোদ্ধা প্রিন্স মাহামুদ আজিমকে মনোনয়নের দাবি তীব্র হচ্ছে

Image
  ফেনী, নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেনী-৩ আসনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে NCP’র পক্ষ থেকে জুলাই যোদ্ধা প্রিন্স মাহামুদ আজিমকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জোরদার হয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ স্থানীয় বিভিন্ন মহলে “ছাত্র–জনতার একটাই চাওয়া—ফেনী-৩ আসনে জুলাই যোদ্ধা প্রিন্স মাহামুদ আজিম ভাইকে পাওয়া”—এই স্লোগানকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা চলছে। নাগরিক অধিকার, জুলাই আন্দোলনের আত্মত্যাগ এবং পরিবর্তনের অঙ্গীকারকে সামনে রেখে সম্মিলিত জুলাই যোদ্ধা কল্যাণ পরিষদ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যা তারা ফেনীর জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। ভিডিওতে প্রিন্স মাহামুদ আজিমকে “জনতার প্রার্থনা, জনতার প্রার্থী” এবং “জুলাই যোদ্ধাদের গর্ব” হিসেবে তুলে ধরা হয়। স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ফেনী-৩ আসনে সাম্প্রতিক সময়ে যে রাজনৈতিক সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে, তাতে তরুণ ও নতুন নেতৃত্বের প্রতি একটি ঝোঁক চোখে পড়ছে। সেই প্রেক্ষাপটে জুলাই আন্দোলন থেকে উঠে আসা নেতাদের জন্য জনমতের একটি অংশে ইতিবাচক সাড়া তৈরি হয়েছে। জুলাই যোদ্ধা কল্যাণ পরিষদের নেতারা জানান, তারা ন্যায়, অধিকার এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে যে আন্দোলন করেছেন...

“যেখানে সত্য অম্লান, বিভাজন ধ্বংসই বয়ে আনে” — ছাত্রনেতা আজিম

FeniQ.Press Editorial Desk | সম্পাদকীয় ডেস্ক — ১৯ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি স্ট্যাটাস নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সমন্বয়ক প্রিন্স মাহামুদ আজিম তার ফেসবুক পোস্টে ইতিহাস, রাজনীতি ও জাতিসত্তার বিভাজন নিয়ে এক তীব্র আত্মসমালোচনামূলক বার্তা দিয়েছেন।

“যেখানে সত্য অম্লান, সেখানে বিভাজন ধ্বংসই বয়ে আনে।”

এই একটি বাক্যেই যেন আজকের রাজনীতির আত্মচিত্র ফুটে উঠেছে — বিভক্ত চিন্তা, বিভক্ত দল, বিভক্ত মানুষ।

🔹 ইতিহাসের পুনরালোচনা ও রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা

আজিমের বক্তব্যে উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী রাজনীতির ‘ক্রেডিটবাজি’-র প্রসঙ্গ। তিনি উল্লেখ করেন,

“একাত্তরে ক্রেডিটবাজী করে মুক্তিযুদ্ধ আওয়ামী লীগ নিয়েছিলো, অথচ তারা রাখতে পারেনি।”

এই মন্তব্যের মাধ্যমে লেখক আসলে প্রশ্ন তুলেছেন — মুক্তিযুদ্ধ বা গণআন্দোলনের মতো ইতিহাসিক অর্জন কি কোনো একক দলের সম্পত্তি হতে পারে?

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর মতো জনতার আন্দোলনকেও দলীয় রঙে রাঙানোর চেষ্টা নিয়ে তার আক্ষেপ স্পষ্ট।

🔹 “মেধাবীদের ষড়যন্ত্র” — এক কড়া সতর্কতা

আজিম তার পোস্টে লিখেছেন,

“আপনাদের শিক্ষিত ষড়যন্ত্র দেশ ধ্বংস করছে।”

এই বক্তব্যটি কেবল রাজনৈতিক নেতৃত্ব নয়, দেশের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর প্রতিও এক অন্তর্নিহিত প্রশ্ন ছুড়ে দেয় — যারা অনেক সময় নীতিহীন সুবিধাবাদে জড়িয়ে জাতীয় স্বার্থকে গৌণ করে তোলে।

🔹 “চব্বিশের বিপ্লব” ও তার উত্তরাধিকার

২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান, যা ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে সংঘটিত হয়েছিলো, তাকে আজিম “চব্বিশের বিপ্লব” নামে অভিহিত করেছেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন,

“চব্বিশের এতো বড় গণঅভ্যুত্থানের পরেও, এমন ভাবনা শুধু মিথ্যা অহমিকাতেই মানায়, রবের দাসত্বে নয়।”
July Uprising

ফাইল ছবি — ৪ আগস্ট, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

🔹 জাতীয় নায়কদের প্রতি অসম্মান নিয়ে ক্ষোভ

“বাংলাদেশীরা আপনাদের মতো শিক্ষিত অপকর্মে তৎপর গোষ্ঠীর কারণে আজও আমরা তেমন করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, তিতুমীর, ভাসানী, শেখ মুজিব, জগদিশ কিংবা শেরে বাংলাকে সম্মান করতে পারি না।”

এই মন্তব্য ইতিহাসের সকল নেতাকে এক জায়গায় দাঁড় করিয়ে একটি সামগ্রিক জাতীয় সম্মানের দাবি তোলে — যা আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে প্রায় হারিয়ে গেছে।

🔹 সম্পাদকের দৃষ্টিভঙ্গি

আজিমের এই স্ট্যাটাসকে কেবল একটি ‘রাজনৈতিক পোস্ট’ হিসেবে দেখা ভুল হবে। এটি এক অর্থে একটি সামাজিক ও বৌদ্ধিক চ্যালেঞ্জ, যা আমাদের চিন্তার গন্ডি প্রসারিত করে।

ফেনিক.প্রেস মনে করে — এমন মতপ্রকাশগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের শোরগোলের মাঝেও একটি আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করতে পারে, যদি তা বাস্তব আলোচনায় ও নীতিনির্ধারণে জায়গা পায়।

🔹 শেষ কথা

“অতএব সাবধান হে আমার প্রিয় বন্ধু। আমি তোমার শত্রু নয়। আমরা চাই তোমাদের মেধার যথার্থ বিনিয়োগ।”

ঐক্য, সংযম ও সত্যের পথে ফিরে আসার আহ্বান।

সম্পাদকীয় মন্তব্য:

“জাতিকে বিভক্ত করে কেউই স্থায়ী হয়নি।” — ইতিহাস তার সাক্ষী, আর সময়ই এই বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করবে।
Post Reference

Comments

Popular posts from this blog

ফেনী ডিসি বদলি : ১৫ ঘণ্টায় কারণ উম্মুক্ত না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

জুলাই আন্দোলনকে রাজনৈতিক তুষ্টির খেলায় ব্যবহার করা হচ্ছে

ছাত্রনেতা প্রিন্স মাহামুদ আজিমের বক্তব্য: “জুলাই সনদ বাস্তবায়নই রাজনৈতিক নিরাপত্তার বৈধতা”