ফেনী-৩ আসনে জুলাই যোদ্ধা প্রিন্স মাহামুদ আজিমকে মনোনয়নের দাবি তীব্র হচ্ছে
FeniQ.Press Editorial Desk | সম্পাদকীয় ডেস্ক — ১৯ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি স্ট্যাটাস নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সমন্বয়ক প্রিন্স মাহামুদ আজিম তার ফেসবুক পোস্টে ইতিহাস, রাজনীতি ও জাতিসত্তার বিভাজন নিয়ে এক তীব্র আত্মসমালোচনামূলক বার্তা দিয়েছেন।
“যেখানে সত্য অম্লান, সেখানে বিভাজন ধ্বংসই বয়ে আনে।”
এই একটি বাক্যেই যেন আজকের রাজনীতির আত্মচিত্র ফুটে উঠেছে — বিভক্ত চিন্তা, বিভক্ত দল, বিভক্ত মানুষ।
আজিমের বক্তব্যে উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী রাজনীতির ‘ক্রেডিটবাজি’-র প্রসঙ্গ। তিনি উল্লেখ করেন,
“একাত্তরে ক্রেডিটবাজী করে মুক্তিযুদ্ধ আওয়ামী লীগ নিয়েছিলো, অথচ তারা রাখতে পারেনি।”
এই মন্তব্যের মাধ্যমে লেখক আসলে প্রশ্ন তুলেছেন — মুক্তিযুদ্ধ বা গণআন্দোলনের মতো ইতিহাসিক অর্জন কি কোনো একক দলের সম্পত্তি হতে পারে?
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর মতো জনতার আন্দোলনকেও দলীয় রঙে রাঙানোর চেষ্টা নিয়ে তার আক্ষেপ স্পষ্ট।
আজিম তার পোস্টে লিখেছেন,
“আপনাদের শিক্ষিত ষড়যন্ত্র দেশ ধ্বংস করছে।”
এই বক্তব্যটি কেবল রাজনৈতিক নেতৃত্ব নয়, দেশের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর প্রতিও এক অন্তর্নিহিত প্রশ্ন ছুড়ে দেয় — যারা অনেক সময় নীতিহীন সুবিধাবাদে জড়িয়ে জাতীয় স্বার্থকে গৌণ করে তোলে।
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান, যা ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে সংঘটিত হয়েছিলো, তাকে আজিম “চব্বিশের বিপ্লব” নামে অভিহিত করেছেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন,
“চব্বিশের এতো বড় গণঅভ্যুত্থানের পরেও, এমন ভাবনা শুধু মিথ্যা অহমিকাতেই মানায়, রবের দাসত্বে নয়।”
ফাইল ছবি — ৪ আগস্ট, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
“বাংলাদেশীরা আপনাদের মতো শিক্ষিত অপকর্মে তৎপর গোষ্ঠীর কারণে আজও আমরা তেমন করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, তিতুমীর, ভাসানী, শেখ মুজিব, জগদিশ কিংবা শেরে বাংলাকে সম্মান করতে পারি না।”
এই মন্তব্য ইতিহাসের সকল নেতাকে এক জায়গায় দাঁড় করিয়ে একটি সামগ্রিক জাতীয় সম্মানের দাবি তোলে — যা আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে প্রায় হারিয়ে গেছে।
আজিমের এই স্ট্যাটাসকে কেবল একটি ‘রাজনৈতিক পোস্ট’ হিসেবে দেখা ভুল হবে। এটি এক অর্থে একটি সামাজিক ও বৌদ্ধিক চ্যালেঞ্জ, যা আমাদের চিন্তার গন্ডি প্রসারিত করে।
ফেনিক.প্রেস মনে করে — এমন মতপ্রকাশগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের শোরগোলের মাঝেও একটি আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করতে পারে, যদি তা বাস্তব আলোচনায় ও নীতিনির্ধারণে জায়গা পায়।
“অতএব সাবধান হে আমার প্রিয় বন্ধু। আমি তোমার শত্রু নয়। আমরা চাই তোমাদের মেধার যথার্থ বিনিয়োগ।”
ঐক্য, সংযম ও সত্যের পথে ফিরে আসার আহ্বান।
“জাতিকে বিভক্ত করে কেউই স্থায়ী হয়নি।” — ইতিহাস তার সাক্ষী, আর সময়ই এই বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করবে।
Comments
Post a Comment