ফেনী-৩ আসনে জুলাই যোদ্ধা প্রিন্স মাহামুদ আজিমকে মনোনয়নের দাবি তীব্র হচ্ছে

Image
  ফেনী, নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেনী-৩ আসনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে NCP’র পক্ষ থেকে জুলাই যোদ্ধা প্রিন্স মাহামুদ আজিমকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জোরদার হয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ স্থানীয় বিভিন্ন মহলে “ছাত্র–জনতার একটাই চাওয়া—ফেনী-৩ আসনে জুলাই যোদ্ধা প্রিন্স মাহামুদ আজিম ভাইকে পাওয়া”—এই স্লোগানকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা চলছে। নাগরিক অধিকার, জুলাই আন্দোলনের আত্মত্যাগ এবং পরিবর্তনের অঙ্গীকারকে সামনে রেখে সম্মিলিত জুলাই যোদ্ধা কল্যাণ পরিষদ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যা তারা ফেনীর জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। ভিডিওতে প্রিন্স মাহামুদ আজিমকে “জনতার প্রার্থনা, জনতার প্রার্থী” এবং “জুলাই যোদ্ধাদের গর্ব” হিসেবে তুলে ধরা হয়। স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ফেনী-৩ আসনে সাম্প্রতিক সময়ে যে রাজনৈতিক সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে, তাতে তরুণ ও নতুন নেতৃত্বের প্রতি একটি ঝোঁক চোখে পড়ছে। সেই প্রেক্ষাপটে জুলাই আন্দোলন থেকে উঠে আসা নেতাদের জন্য জনমতের একটি অংশে ইতিবাচক সাড়া তৈরি হয়েছে। জুলাই যোদ্ধা কল্যাণ পরিষদের নেতারা জানান, তারা ন্যায়, অধিকার এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে যে আন্দোলন করেছেন...

ফেনী—ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সম্ভাবনার জেলা

নিজস্ব প্রতিনিধি : 






 বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত ছোট্ট জেলা ফেনী, যার নামের সাথে জড়িয়ে আছে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং সংগ্রামের নানা অধ্যায়।

প্রাচীনকাল

ফেনীর ইতিহাস হাজার বছরের পুরোনো। ধারণা করা হয়, প্রাচীন সমুদ্রতীরবর্তী সভ্যতার একটি অংশ ছিলো এ অঞ্চল। নদী-নালা, খাল-বিল আর সবুজ প্রকৃতির মাঝে গড়ে ওঠা এই জনপদে ছিলো আদি বাংলার কৃষিভিত্তিক জীবনযাত্রা।

মধ্যযুগ

মধ্যযুগে ফেনী ছিল বাণিজ্য ও নৌপথের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। চট্টগ্রাম বন্দরগামী বহু ব্যবসায়ী কাফেলা ফেনীর নদীপথ হয়ে যাতায়াত করতো। এই সময়ে আরব ব্যবসায়ীদের প্রভাবে ইসলাম প্রচারিত হয় এ অঞ্চলে।

ব্রিটিশ আমল ব্রিটিশ শাসনামলে ফেনী ছিলো তৎকালীন নোয়াখালী জেলার অন্তর্ভুক্ত। ১৯০৬ সালে ফেনী মহকুমা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এই সময়েই ফেনীতে শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়ন ঘটে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনেও ফেনীর তরুণরা সক্রিয় ভূমিকা রাখে।

মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ফেনী ছিলো একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্র। ফেনীর মানুষ জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। মুক্তিকামী মানুষদের আত্মত্যাগ ফেনীর ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ

১৯৮৪ সালে ফেনী পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। তখন থেকে শিক্ষা, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি ও সামাজিক অগ্রগতিতে ফেনী দ্রুত এগিয়ে যেতে শুরু করে।

বর্তমান ফেনী
আজকের ফেনী বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় জেলা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থানের কারণে এটি ব্যবসা-বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিল্প-কারখানা, আধুনিক সড়ক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন ফেনীকে আরও এগিয়ে নিচ্ছে। ✨ উপসংহার ফেনী শুধু একটি জেলা নয়, এটি হলো এক টুকরো ইতিহাস, এক টুকরো সংগ্রাম এবং এক সম্ভাবনার নাম। অতীতের ঐতিহ্য আর বর্তমানের অর্জন মিলে ফেনীকে গড়ে তুলছে আগামী দিনের আরও উজ্জ্বল বাংলাদেশ।

Comments

Popular posts from this blog

ফেনী ডিসি বদলি : ১৫ ঘণ্টায় কারণ উম্মুক্ত না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

জুলাই আন্দোলনকে রাজনৈতিক তুষ্টির খেলায় ব্যবহার করা হচ্ছে

ছাত্রনেতা প্রিন্স মাহামুদ আজিমের বক্তব্য: “জুলাই সনদ বাস্তবায়নই রাজনৈতিক নিরাপত্তার বৈধতা”