ফেনী-৩ আসনে জুলাই যোদ্ধা প্রিন্স মাহামুদ আজিমকে মনোনয়নের দাবি তীব্র হচ্ছে

Image
  ফেনী, নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেনী-৩ আসনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে NCP’র পক্ষ থেকে জুলাই যোদ্ধা প্রিন্স মাহামুদ আজিমকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জোরদার হয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ স্থানীয় বিভিন্ন মহলে “ছাত্র–জনতার একটাই চাওয়া—ফেনী-৩ আসনে জুলাই যোদ্ধা প্রিন্স মাহামুদ আজিম ভাইকে পাওয়া”—এই স্লোগানকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা চলছে। নাগরিক অধিকার, জুলাই আন্দোলনের আত্মত্যাগ এবং পরিবর্তনের অঙ্গীকারকে সামনে রেখে সম্মিলিত জুলাই যোদ্ধা কল্যাণ পরিষদ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যা তারা ফেনীর জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। ভিডিওতে প্রিন্স মাহামুদ আজিমকে “জনতার প্রার্থনা, জনতার প্রার্থী” এবং “জুলাই যোদ্ধাদের গর্ব” হিসেবে তুলে ধরা হয়। স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ফেনী-৩ আসনে সাম্প্রতিক সময়ে যে রাজনৈতিক সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে, তাতে তরুণ ও নতুন নেতৃত্বের প্রতি একটি ঝোঁক চোখে পড়ছে। সেই প্রেক্ষাপটে জুলাই আন্দোলন থেকে উঠে আসা নেতাদের জন্য জনমতের একটি অংশে ইতিবাচক সাড়া তৈরি হয়েছে। জুলাই যোদ্ধা কল্যাণ পরিষদের নেতারা জানান, তারা ন্যায়, অধিকার এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে যে আন্দোলন করেছেন...

সহিংস রাজনীতি নয় — ত্যাগের রক্তে উন্নয়ন চাই : ছাত্রনেতা আজিম

 

কাকে মারছেন আপনারা ? যে রক্তে দেশ গড়েছেন, আজ সেই রক্তেই বিভক্ত রাজনীতি। এক হোন—কারণ এই দেশ দলের নয়, জনগণের।


  লেখক: প্রিন্স মাহামুদ আজিম।

জনতার রক্তে লেখা প্রশ্ন: কে কাকে মারছেন আপনারা?

সহিংসতার রাজনীতি বন্ধ হোক। কে কাকে মারছেন আপনারা?
সে তো আপনার শরীরের বুলেট নিবে বলে হাতে হাত ধরে দাড়ানো আপনার মতোই আরেকজন ভাই।

এই প্রশ্নের উত্তর আজ রাজনীতিকদের নিজেদেরই দিতে হবে—
যেখানে সকল পক্ষ এখনো শহীদের তাজা রক্তে দাঁড়িয়ে পরস্পর এক হতে পারছে না,
সেখানে এই দেশ ও দেশের মানুষ তাদের সুদূরপ্রসারী উন্নয়ন কতটা হবে, তা অনুমান করাই যায়।
“যদি আজ তোমার ভাই পড়ে যায়, কালকে তুমি কাকে দেখতে চাও—বিচার নাকি প্রতিশোধ?”


⚖️ রাজনীতি নয়, এখন দায়িত্ব জনগণের

যে সাধারণ ছাত্র-জনতার রক্তে আপনারা দেশটাকে যে যার মতো পেয়ে বসে রয়েছেন,
তাদেরই ত্যাগে গড়া এই রাষ্ট্র।
স্বৈরাচারও জনতার কথা শুনে নাই—
তখন জনতাই নিজের শাসন অধিকার কেড়ে নিয়েছিল।

এত প্রাণের বিনিময়ে এখনো যদি রাজনীতি শুধু সহিংসতা আর প্রতিহিংসায় আটকে থাকে,
তাহলে এবার মাঠের কৃষক মাঠ ছেড়ে পার্লামেন্টে এসে দেশ চালাবে।
ভালো লাগবে?


🌾 বাংলার মাটির শ্রেষ্ঠ সন্তান: কৃষক, শ্রমিক, জনতা

কৃষক আবার কী দেশ চালাবে?
এই প্রশ্নের উত্তর সহজ—
যখন রাজনীতিকরা দেশের সেবা ভুলে ক্ষমতার খেলা খেলেন,
তখন জনতাই রাষ্ট্রের দায়িত্ব নেয়।

বাংলার কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ—
তারাই এই দেশের প্রকৃত শক্তি।
তাদের মেরুদণ্ড সোজা, তাই তারা কারও গোলামী মানে না।

ভারত বা পাকিস্তানের কাছে মাথা নত করার প্রয়োজন নেই,
আমেরিকাও আমার মতোই একটি দেশ।
তারা বড়, আমরা ছোট—কিন্তু মর্যাদায় বাংলাদেশ কখনোই ছোট নয়।


🕊️ গোলামী নয়, আত্মমর্যাদার সংগ্রাম

আমরা ভিক্ষুক জাতি নই।
অন্য দেশ অসহায় হলে আমাদের সক্ষমতা তাদের পাশে দাঁড়াবে—
তবে সেটি আমাদের জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করেই হবে,
গোলামী দিয়ে নয়।

সংগ্রাম করে পৃথিবীর অনেক দেশ স্বাধীন হয়েছে, উন্নতও হয়েছে।
কিন্তু তোষামোদ আর দাসত্বে কোনো জাতি উন্নত হতে পারে না।
খুব বেশী হলে কিছু লোক বেগম পাড়ায় বাড়ি করবে,
কিন্তু জাতির ভাগ্য কখনো বদলাবে না।


⚠️ দল নয়, জনগণই সর্বোচ্চ শক্তি

রাজনৈতিক দলগুলো মনে করে দেশ তাদেরই সম্পত্তি।
কিন্তু দেশের উপরে আছে জনগণ।
জনগণকে মূল্য দিন, তাহলেই নিজেরা মূল্য পাবেন।

না হলে রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন কী?
জনতাই দেশ ও প্রশাসন চালাক।

যারা সামান্য ষড়যন্ত্রেই ক্ষমতার মোহে নিজেদের ঐক্য ভেঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়,
তাদের হাতে জনগণ কেন দেশের ভবিষ্যৎ তুলে দেবে?


🔥 জনতার ঐক্যই হাসিনার পতনের চাবিকাঠি

একটু পরস্পর ত্যাগ করতে পারছেন না—
আর বলছেন হাসিনাকে প্রতিহত করবেন?
জনগণ কি এই নাটক দেখবে?

এক দল নিজেদের ভেতরেই ব্যায়াম চালায়,
এক পরিবারে দুই টিম যুদ্ধ করে—
এমন জানলে ছাত্র-জনতা কখনো আন্দোলনে নামত না!

নেতারা শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করেছেন ঠিকই,
কিন্তু হাসিনা সে জন্য পালায়নি।
তিনি পালিয়েছেন যখন জনতার বোন, ভাই, মা, বাবা
নিজেরা রাজপথে নেমে পড়েছিলেন।
জনগণ যখন পরিবারের মতো এক হয়েছিল—
তখনই সন্ত্রাসের দুর্গ ভেঙে যায়।


🩸 জুলাই আহতদের প্রতি নৈতিক দায়

এনসিপি এখন ভোটের বাটোয়ারায় বসে,
কিন্তু শহীদের রক্তের বিচার নেই।
জুলাই আহতরা আজও ব্যথায় কাঁদে,
তাদের চিকিৎসার খোঁজ কেউ নেয় না।

নাহিদ, হাসনাত, আসিফ —
তোমরা একসময় জনতার মুখ ছিলে,
আজ তোমাদের নাম শুনে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয়।

হাসিনা স্বাধীনতা বিক্রি করতে ৫৩ বছর সময় নিয়েছিল,
আর তোমরা তিনদিনেই হারিয়েছো নৈতিকতা।
নির্দলীয় জুলাই বিপ্লবকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছো।

আমাদের রক্তের উপর গড়ে তোলা দল নিয়ে
যদি সত্যিই দেশ গড়তে চাও,
তবে আবেগ নয় — বাস্তব কর্মে প্রমাণ দাও।
না হলে সব ছেড়ে পড়ার টেবিলে ফিরে যাও।


💬 শেষ কথা: দলীয় প্রয়োজনে নয়, দেশের প্রয়োজনে রাজনীতি

‘সস্তা পদযাত্রা’ নয় —
জুলাই পদযাত্রা এমনও হতে পারতো,  ৬৪ জেলার ৬৪ হাসপাতাল ভিজিটের মাধ্যমে জনসংযোগ।
যার সবকটাতেই জুলাই যোদ্ধারা বেদনাদয়ক সময় পার করছে।
যখন ফেনীর মানুষ বন্যায় ভাসছে, তখন এনসিপি পদযাত্রার নামে জলকেলি খেলে।

তোমাদের আয়োজনই বলে দিচ্ছে —
তোমাদের মধ্যে অনেকেই “শিক্ষিত শয়তান” ছাড়া আর কিছু নয়।

জনতা আর চায় না ক্ষমতার রাজনীতি।
তারা চায় উন্নয়ন, ঐক্য, দায়িত্ব।


দেশের প্রয়োজনে প্রতিযোগিতা হোক, দলের নয়।
— প্রিন্স মাহামুদ আজিম, জুলাই যোদ্ধা ও সাবেক সংগঠক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।


🔖 লেখক পরিচিতি:
— প্রিন্স মাহামুদ আজিম
জুলাই যোদ্ধা | স্বাধীনচেতা নাগরিক কণ্ঠস্বর


Comments

Popular posts from this blog

ফেনী ডিসি বদলি : ১৫ ঘণ্টায় কারণ উম্মুক্ত না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

জুলাই আন্দোলনকে রাজনৈতিক তুষ্টির খেলায় ব্যবহার করা হচ্ছে

ছাত্রনেতা প্রিন্স মাহামুদ আজিমের বক্তব্য: “জুলাই সনদ বাস্তবায়নই রাজনৈতিক নিরাপত্তার বৈধতা”